করোনাভাইরাসের ডেলটা ধরন থেকে ওমিক্রনে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ কম। যুক্তরাজ্যের লন্ডন ইম্পিরিয়াল কলেজের একটি গবেষণায় গতকাল বুধবার এমনটি বলা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের ডেলটা ধরনের ধাক্কা সামলানোর আগেই এই ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে সতর্ক করে বলেছে, ওমিক্রন অবিশ্বাস্য গতিতে ছড়াচ্ছে। এ
করোনা যেন পিছু ছাড়ছে না। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালিয়ে আবারও নতুনভাবে আবির্ভূত হচ্ছে মরণব্যাধি এ মহামারি। আজকের পত্রিকায় খবর এসেছে—বিশ্বব্যাপী আবারও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট তাণ্ডব শুরু করেছে। একটি ভ্যারিয়েন্ট সহনীয় হতে না হতে ডেলটা প্লাস নামের করোনার আরেকটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট ভয় ধরিয়ে দিতে শুরু
দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের হাত ধরে ভারতে করোনার প্রকোপ ফের বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৩৫.৬ শতাংশ। করোনার সংক্রমণ বাড়ছে কলকাতাতেও। আশঙ্কা প্রকট হচ্ছে তৃতীয় ঢেউয়ের।
অতি সংক্রামক ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় ব্যর্থ হয়েছে অপরিকল্পিত লকডাউন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, লকডাউন দিয়ে সংক্রমণ কমছে না। আর এটি একটি চিন্তার বিষয়। কারণ আমাদের শেষ অস্ত্রই ছিল লকডাউন।
করোনার ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট কোনো হাসি-ঠাট্টার বিষয়। আমিও ভেবেছিলাম এটি আমার হবে না কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমিও আক্রান্ত হয়েছি। মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির কোকালকো এলাকার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে শুয়ে এমনটি বলছিলেন ২০ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ডিয়েগো।
করোনাভাইরাসের ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ভিটামিন সি এবং জিংক যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন ড. বিজন। তিনি বলেন, করোনার আগের ধরনের চেয়ে ডেলটা ধরনের লোডিং ক্ষমতা এক হাজার গুণ বেশি। খুব দ্রুত ছড়ায় এই ধরনটা।
চট্টগ্রামে বর্তমানে ৯৩ শতাংশ করোনা রোগীই উচ্চ সংক্রমণশীল ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন–এমন তথ্য দিয়েছেন একদল গবেষক। করোনা রোগীর জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনের পর তারা শুক্রবার গণমাধ্যমে এ তথ্য দেন। গবেষণায় দেখা যায়, ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট (বি.১. ৬১৭.২) শহর ও গ্রামে সমান ভাবে ছড়িয়েছে
বিশ্বে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ২০ কোটি ছাড়িয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং জানিয়েছেন, তাঁর দেশ ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিশ্বকে ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেবে।
বর্তমান করোনা আক্রান্তদের ৯৮ শতাংশ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ১ শতাংশের দেহে সাউথ আফ্রিকান বা বেটা ভ্যারিয়েন্ট এবং একজন রোগীর দেহে মরিসাস বা নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) একটি গবেষণায় এমনটি
ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট জলবসন্তের মতোই সংক্রামক। সংক্রমিত ব্যক্তি সঙ্গে গড়ে আট বা নয়জনকে সংক্রমিত করতে সক্ষম। যেখানে করোনাভাইরাসের মূল্য ভ্যারিয়েন্টটি সাধারণ সর্দি–জ্বরের মতো একজন ব্যক্তি থেকে দুজনের মধ্যে সংক্রামিত হওয়ার সক্ষমতা ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় শহর সিডনিতে করোনার ডেলটা ধরনে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, মহামারি শুরুর পর সিডনিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৩৯ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।
করোনাভাইরাসের ডেলটা ধরনের সামাজিক বিস্তার এবং লকডাউনের প্রতিকূল অবস্থায় কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ব্র্যাকের উদ্যোগ ‘ডাকছে আবার দেশ’। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে জনসচেতনতা বাড়াতে "আলোয় আলোয় ডাকছে আবার দেশ" শীর্ষক একটি গান উন্মোচন করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারি এমনিতেই গোটা বিশ্বকে এক অভাবনীয় বাস্তবতার মধ্যে এনে ফেলেছে। তারপরও দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এর সঙ্গে চলতে চলতে মানুষ এর ধারা কিছুটা বুঝতে পেরেছিল বলে মনে করেছে। এই বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিল, নতুন করে সচল করছিল অর্থনীতি। কিন্তু ডেলটা ভ্যা
সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কোভিডের নতুন কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে ইন্দোনেশিয়া। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেলটা রূপের দ্রুত সংক্রমণ ক্ষমতা আর সকলকে দ্রুত কোভিড টিকা দেওয়ার ব্যাপারে সরকারগুলোর অক্ষমতাই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে
করোনাভাইরাসের ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের ৯৮টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। গরিব দেশগুলোকে মাশুল গুনতে হচ্ছে বেশি...
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তে যৌথভাবে কাজ করছে আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি এবং আইদেশী। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মোট ৬৪৬টি কোভিড-১৯ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছে এ তিনটি প্রতিষ্ঠান।